শিশুদের অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা

A

ভালো থাকুন
ডা. মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, নবজাতক, শিশু ও কিশোর সার্জারি বিশেষজ্ঞ, রেজিস্ট্রার, কুর্মিটোলা বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারী হাসপাতাল, উত্তরার, ঢাকা

যেকোনো নবজাতকের জন্ডিস থাকাই অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু কিছু শিশুর ক্ষেত্রে জন্মের পরেও জন্ডিস দীর্ঘদিন পর্যন্ত থাকে। একে নবজাতকের অগ্ন্যাশয়জনিত সমস্যা বলা যায়। শিশুর অগ্ন্যাশয়ে যদি সমস্যা থাকে তবে খাদ্য হজমে সমস্যা দেখা যায় এবং পেট ফুলে যায়, বমি হতে পারে।

পেটে ভেতর থেকে নিতে না নামা
সাধারণত দু’টি অগ্ন্যাশয় থাকে। এর একটি যদি পেটে ভেতরে না নামে তবে সেটি অস্বাভাবিক জায়গায় থেকে যায়। এর ফলে শিশুর পেটে গ্যাস জমে, বমি হয়, খাওয়ার পর পেট ফুলে যায়।

পাঁচ খাওয়া
সাধারণত দুই বছর বয়সের পর প্রাথমিকভাবে শিশুটির হজমের সমস্যা হতে পারে। পেট ফুলে যেতে পারে, বমি হতে পারে, ওজন কমে যেতে পারে। যদি দীর্ঘদিন ধরে থাকে, তবে রোগ নির্ণয়ের জন্য অগ্ন্যাশয়ের আলট্রাসোনোগ্রাম করা প্রয়োজন।

ইনফেকশন
অগ্ন্যাশয়ে ইনফেকশন হলে লাল হয়ে যায়, ব্যথা হতে পারে এবং জ্বর আসে। ইনফেকশন হলে শিশুর শরীরের অন্য অংশেও প্রভাব ফেলতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না করলে গুরুতর সমস্যা হতে পারে।

পথলিতে আসা-যাওয়া
কিছু শিশুর ক্ষেত্রে ঘুমানোর সময় অগ্ন্যাশয় দেখা যায়, আবার খেলাধুলার সময় তা অদৃশ্য হয়ে যায়। এটি সাধারণত বিপজ্জনক নয়, তবে যদি ক্রমাগত দেখা দেয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

ডিউডেনাম
কিছু শিশুর ক্ষেত্রে দুই অগ্ন্যাশয়ের পাশে ডিউডেনাম বা অন্ত্রের প্রান্ত থাকে। এর ফলে খাবার চলাচলে সমস্যা হতে পারে। এমন অবস্থায় শিশুর সার্জারি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অন্য জায়গায় থাকা
কখনও কখনও অন্য কোষে, যেমন যকৃৎ, পিত্তথলি বা অন্ত্রের ভেতরে অগ্ন্যাশয় থাকতে পারে। একে “এক্টোপিক প্যানক্রিয়াস” বলা হয়। এটি সাধারণত বিপজ্জনক নয়, তবে সমস্যা হলে চিকিৎসা প্রয়োজন।

অভিভাবকের প্রধান দায়িত্ব
না-ও বুঝতে পারেন। শিশুটি একটু বড় হলে সমস্যাটি ধরা পড়ে।

খুঁজে না পাওয়া
অনেক সময় শিশুর হজমে সমস্যা, খাওয়া-দাওয়া না করা, ওজন কমে যাওয়া, জন্ডিস দেখা দেওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে অগ্ন্যাশয়জনিত কারণ খতিয়ে দেখা দরকার।

পানি জমা
অগ্ন্যাশয়ের সঙ্গে পানি জমে থাকতে দেখা যায়। একে “সিস্ট” বলা হয়। এটি আলট্রাসোনোগ্রামে ধরা পড়ে। প্রয়োজনে অপারেশন লাগতে পারে।

ভালো থাকুন
যেকোনো সমস্যা এড়াতে হলে প্রয়োজনে শিশুর সার্জারি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।