ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (শোভন)
নবজাতকের প্রায়ই সাধারণত যেসব সমস্যা হয়ে থাকে, তার কিছু দেখা যায় জন্মের পরপরই। ইউরোলজির মধ্যে যেসব সমস্যা দেখা যায় সেগুলো সাধারণত শিশুর সার্জারি বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে নির্ণয় হয়ে থাকে।
UTI বা প্রস্রাবের ইনফেকশন:
এটা সাধারণত ছেলে শিশুরদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ভাইরাস ব্যবহারের কারণে হয়। ইনফেকশন যদি হয় তাহলে শিশুর প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন হয়ে যায়। প্রস্রাবের গন্ধ পরিবর্তন হতে পারে, জ্বর আসতে পারে, বমি, খাওয়া না খাওয়া, হলুদ বর্ণ ধারণ করতে পারে।
এ ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুর প্রস্রাব পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে।
সাদা স্রাব যাওয়া:
সাধারণত মেয়ে নবজাতকের জন্মের পরপরই প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে সাদা স্রাব যায়। এটা সাধারণত মায়ের হরমোনের কারণে ইনফ্লুয়েন্সড হয়ে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে ইনফেকশনও হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি স্বাভাবিক বিষয়। এ ধরনের স্রাব সাধারণত কয়েক দিন থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে কমে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে পরামর্শের প্রয়োজন হতে পারে।
বাহ্যিক যৌনাঙ্গ ফুলে যাওয়া:
এটি ছেলেশিশুর ক্ষেত্রে টেস্টিস, পেনিস বা স্ক্রোটাম ফুলে যেতে পারে। মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে ভলভা ফুলে যেতে পারে। এটি সাধারণত জন্মের সময় হরমোনাল ইনফ্লুয়েন্সের কারণে হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি সাময়িক এবং নিজে থেকেই সেরে যায়।
হাইড্রোসিল:
এটি টেস্টিসের চারপাশে তরল জমে যাওয়ার কারণে হয়। জন্মের সময় অনেক শিশুর মধ্যেই দেখা যায়। সাধারণত ছয় মাসের মধ্যে এটি সেরে যায়। তবে যদি না সারে বা শিশুর অস্বস্তি হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রস্রাবের রাস্তা সরু থাকা (মিটাস স্টেনোসিস):
এটি সাধারণত ছেলেশিশুর ক্ষেত্রে দেখা যায়। প্রস্রাবের সময় কষ্ট হলে বা প্রস্রাবের রেখা চিকন হলে বুঝতে হবে যে সমস্যা থাকতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে শিশুর সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সমাধান:
এই ধরনের ইউরোলজিক্যাল সমস্যা যদি নবজাতকের মধ্যে দেখা যায় তাহলে আতঙ্কিত না হয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অধিকাংশ সমস্যাই সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সহজেই সারানো যায়।
আপনার সোনামণি ভালো থাকুক—এই প্রত্যাশা রইল।